Tuesday, September 29, 2009

ঘ. অন্যান্য গান

মধ্যা‎হ্ন কীর্তন: দুই

অধিরূঢ় এই দুপুরের দৃশ্য থেকে
তুলে আনি কিছু মৌন পাণ্ডুলিপি-
সুদূর গানের অর্থী ভেসে আসে
সে গানে মর্মর ছিলো বটে!

তবে সন্ধ্যা... চিরায়ত ভোরের প্রতিভা
দৃশ্যত দুপুরেই লিপিবদ্ধ- কীর্তনিয়া গো
বনে বনে তুমি ঝরাপাতাদের সহোদর
আমাকে কী প্রাণিত করো
নাকি পতনের শিস দিয়ে যাও...
        অলৌকিক মৌনতায়...

কেবলই দুপুরের গল্পে বিরচিত
আমার জীবনী
    আহা কাকে দিয়ে যাবো...
আর এই শিল্পকলা
        নীলিমার দেশে যে কার পায়ে জড়াবো...

নিশিদিনলিপি

আমার ডাইরির শেষ দিনগুলি
খুব ছিঁড়ে গিয়েছিলো...

আমি তবু বিসর্জন করি এই
        ব্যর্থ বৈবাহিকতা-
আর- চরণে মুদ্রিত মাথা
তবু বিচ্ছুরিত মেধার পরাগ
অর্থাৎ পুষ্প ভালোবাসি...

নিরীহ ধুলোর স্বপ্ন
তাকে তুমি চি‎হ্নিত করেছো-
আমি পুণ্য প্রজ্ঞা-ছাপ বলি...
আর জীবন গুড়িয়ে দিই
        মুঠি মুঠি...

আশ্বিনের শাদা মেঘ- আমার ডাইরি
তার শেষ দিনগুলি
খুব ছিঁড়ে গিয়েছিলো...

Monday, September 28, 2009

প্রতিভোর ষোলই নভেম্বর

নিরবতার এই নদী- এর কোন জলস্মৃতি নেই... তবু তীব্র জলেশ্বরী আর এই নিসর্গের ঢেউ... মুহূর্তের অশ্রুধারা দাস- অধিবৃত্তে একদিন সমুদ্রের ইতিহাস লেখা হবে... তোমরা বেড়াতে এসো আর স্নানস্বাদে জন্মান্তর হলে সূর্যাস্তের মহিমা উড়িয়ে... ভোরবেলা ঝিনুক কুড়িয়ে নিও...

সমুদ্রের এই পাড়ে-  এইসব গল্পগুলি- বালিসহস্রের শিশুবিন্দু আহা হেসে ওঠে ভোরবেলা... তোমাদের নেমন্তন্ন করি- পুনঃজন্ম পুণ্যতায় শুশ্রুষায় নিয়ে তবে অশ্রু দিয়ে এঁকে দিও জলস্মৃতি... অধিবৃত্তে অবিমিশ্র এই সমুদ্রের ইতিহাস লেকা হবে

আর ওই মেঘশিল্প- শিশিরের স্বপ্নবন্ধু... দূরের দেশের অভিমান- প্রতিপৃথিবীর ব্যথিত প্রবাহ... গোপনের মগ্ন গল্পে আমি যদি বসে থাকি আবহমান... সমুদ্রের ওইপাড়ে- পুণ্যাহের গানের ওপারে- ঘণ্টাধ্বনি বাজে আর পাঁজরে পাবক জ্বলে আর মৃত্যু লেখা হয় মহোৎসব...

তবু এই থই থই কাল্পনিকী... জলস্মৃতিহীন আহা মুহূর্তের অশ্রুকণা দাস- আমার জীবনী থেকে জেনে নিও বারি বিন্দু সমুদ্রের ইতিহাস... মগ্ন মৃত্যু মহোৎসব... আহা তবু ফিরে ফিরে আসে অস্মিতার জন্মদিন পৃথিবীতে- পৃথিবীর প্রতিভোর ষোলই নভেম্বর...

শীতের সংলাপ

মনে পড়ছে... পড়ছে পুন:        পুনশ্চ এক প্রবাল
মনে পড়ছে মেঘশিশুদের কথা
        নীল পাখিদের গান
        আর-
    প্রান্তরে যে দৃশ্য ছিলো প্রাচীন
    পুণ্য-পুরাণ... আহা
ও শ্রীনাথ... নদীর জলে        এমন গভীর গান
        আহা পাড়ায় পাড়ায়
        মৌন সম্প্রদান;
ছোট নদী... কালী-সন্ধ্যা... আলোর ঝাঁপি উল্টে গেলে
        দৃশ্য ভেঙে কি দেখা যায়
        ঠাকুর ঘরে শঙ্খ বাজায়
            কুমারী এক মা
            তার জীবনী... জল-যৌবন
        আমি কি জানি না?

মনে পড়ছে... পড়ছে পুন:        পুনশ্চ এক পতন
মনে পড়ছে ঝরাপাতাদের কথা
        শর্ষে ফুলের মাঠ
        আর
    শীতকুয়াশার গল্পগুলি... আহা
    অনুচ্চারিত... শাদা
সুদূর কোনো দিকে ওড়ে কী নিসর্গ শাদা-বেলুন-বাড়ি
মনে পড়ছে... আত্মজ এক        পড়শি আছেন প্রিয়
            সান্দ্র শূন্যচারী...

মুদ্রিত পোর্ট্রটে: বিনয় মজুমদার

বাড়ি থেকে বেরুলেই নীল-অক্ষ-মাঠ
ঘুম-ঘোর ভেঙে চলে আসে অশ্বমুখী পাঠ-
আরো পাঠ্য পথিমধ্যে... লতা-পাতা-ঘাস
পাখি তুই বিনয়ের বাড়ি চলে যাস্

বিনয় বাড়িতে থাকে... অধিরূঢ় একা
প্রতিদিন পৃথিবীর রেলগাড়ি দেখা...
এই যেনো সংবেদন- আবহমান
ঝরাপাতা গিয়ে তাকে করিও প্রণাম...

দূরের দেশের বৃক্ষ- পয়মন্ত শাখা
পাঁজরে গড়িয়ে চলে অবিনাশী চাকা...
এই বুঝি সংবেদন- গুপ্ত সুষমা
সামান্য চোখের নিচে অধিকন্তু অমা-

এইসব লিখি আর না লিখি অধিক
বিনয়ের বুকে হ্রাদ... রেল ঝিক্ ঝিক্

নগর কীর্তন


আরও স্মৃতির অংশ- অনুচ্চারিত... নগরীতে নন্দন উৎসব... মহান মেয়র এলে শুভ হবে বিশুদ্ধ জর্ণাল। হাওয়ায় যে বেলুন উড়ে যাবে হাওয়ায়- দূরে... প্লাস্টিক ইল্যুশনে... বেলুনের রঙে তবু সমুজ্জ্বল মেয়রের সানগ্লাস...

তাই কীনা যথারীতি কাগজের স্টিল আমাদের ঘরে ঘরে হামাগুড়ি দেয় আর ধাবমান দিনের রোদ্দুর শেষবার উঁকি মারে অ্যাভিনিউ-অ্যাপার্টের অনচ্ছ আকাশে... তবু সোডিয়াম রজনীর শেষে ড্রেনে ড্রেনে যে নিরোধ ভাসমান- আরও স্মৃতির কণা- কোন মর্মে নিহত আমার ভাই, নিহত পারুল বোন... অকাল প্রয়াত সিভিলাইজেশন...

তীর্থযাত্রী

ঈশ্বর-দীর ইস্টিশন থেকে
অন্তরনগর ট্রেন যাবে
আ-দি-গ-ন্ত-পু-র

তিনি আজ তীর্থযাত্রী
এই শীতে কুয়াশামুখর
একা তবে নিজের সঙ্গে
    লুব্ধ-মুগ্ধ-রাত্রি
অপূর্ব নির্জন বসেছেন!

আহা অন্তরনগর ট্রেন!!

বৃষ্টি থেকে বিষাদিত বুদবুদ

এমন বৃষ্টির সাথে
আমারও সম্পর্ক ছিলো বনে বনে
        দূর বিন্দুপুরে...

এমন মৃগয়া গানে- আজ এই
আধুনিক বৃষ্টি থেকে বিরচিত নিদ্রা-অভিজ্ঞানে
আমিও বন্দনা করি- সেইসব বৃষ্টির কাহিনী...
কোনোদিন বিধবার শাড়ি পরে
        বৃষ্টি এসেছিলো
পাড়াগাঁর প্রদগ্ধ সংসারে
সেই স্বর্গস্মৃতি হতে এতোটা বয়স হলো...
    আহা! উত্তরের মেঘ...
        মন্দ্র মনোভূমি...


এমন অঝোর দিনে
অগোচরে ফুটিতেছে দগ্ধ ব্যাকুলতা- যেনো
আমারও সম্পর্ক ছিলো বনে বনে
        দূর বিন্দুপুরে...
বৃষ্টি আমার বোন
আজন্ম বিধবা নারী
কোনো রঙে সাজাতে পারি না তাকে...
        আহা উত্তরের মেঘ
            সান্দ্র মনোভূমি...

ধূলি শহরের গান

ধূলি শহরের পথে        ঘুরি তবু আজ
আমাকে পথিক বলেনি ওই প্রত্ন-চিলেকোঠা...

তবু এই তমোহরে জোনাকি সুদূর...

আর ওই সিলিকন চিপসের গান
ও মাসুদ খান, মনে পড়ে
ক্লেদজ কুসুম থেকে কবি খুব কান্ত
        করুণ ছিলেন...

এইখানে অন্তর্লীন দীপাবলি জ্বলেনি... কোজাগরে

ধূলি শহরের পথে        ঘুরি তবু আজ
আমাকে ফিনিক্স বলেনি ওই মেট্রো-সোডিয়াম...

খণ্ড স্মৃতি

সন্ধ্যা আসে, আর ওই অরাত্রি ম্লানিমা
পান করি প্রতিস্বাদ... একদিন
প্রসীদ প্রসীদ বলে
        আর্দ্র ছিলাম...

আজ তবু তারাদের কথা বলি
প্রিয় পাখিদের কথা বলি
অপ্রিয় আঁধারে... একদিন
অপার নীলিমা বলে
        হার্দ্য ছিলাম...

আর ওই নিরবতা- রাত্রিকালীন সঙ্গীত
কবে কবে
একাদের শরণ রচনা
        রচনা করেছি বলে
কোনোদিন মানুষ ছিলাম
এই কথা মনেই পড়ে না...

Sunday, September 27, 2009

উত্তর জন্ম-সাধ

অনেকদিন পরের কথা: উত্তর-পুরাণে আমি ওই
অবিভাজিত গান আর বিদ্রুম দ্যোতনার সন্ধানে
হৃদি-ঘরে প্রবেশেই দেখিবো- মৃতুঘুম প্রবাহিত...

অতএব এইসব জাগরণ অনর্থক নহে... আর এই
শুভরাত্রি সেইসব অনুষঙ্গে ঘনীভূত- যেইখানে
অশ্রুজলে আমি কাগজের নৌকা... শিশুতরী...
আর তুমি মোরে ভাসাইয়া দিও... আঁচলে উড়াইও...

প্রত্নলাবণ্য

যাদুঘরে যাই আর অগোচরে ছুঁয়ে আসি
গান্ধারে তোমার মুখ
    প্রত্নলাবণ্য
    স্নিগ্ধ শিল্পকলা...

প্রান্তরে প্রান্তরে ঘুরি তবু এই বিস্মরণ
এড়াতে পারি না আহা
কত পথ উড়ে এসেছিলো এই আমার পায়ে
আর কত পাখি উড়ে গিয়েছিলো
        যেনো কোন কোন দিকে...

দিকের দ্রষ্টব্য যেনো ঝাঁপসা মিরর
আর সেই লাঠিমের অভিজ্ঞান...

বিস্মরণের এত পরে তবু শিলিভূত
স্নিগ্ধ শিল্পকলা
    প্রত্নলাবণ্য
        গান্ধারে তোমার মুখ
            অগোচরে ছুঁয়ে যাই...

মধ্যা‎হ্ন কীর্তন: তিন

মহিমা কীর্তন করি এই মৌল বিষাদের দিন
উত্তরে মেঘের দেশ
        ও মেঘের মেয়েরা
শ্রাবণ ঘুমিয়ে গেলে
        দেক্ষিণে যাবো না আমি
বাঙলা কবিতা ধরে বিনয়ের বাড়ি চলে যাবো...

ত্রিবেণীর নীলকুঠি... স্তব্ধতার স্থাপত্য থেকে
শোনা যায় প্রত্নপাখিদের গান-
আমি সেই পাখিদের ভাষা পাঠ্য করি
জলের সুদূরে বসে
        ও মেঘের মেয়েরা
অবিনাশী এক দুপুর খেয়েছে আমায়...

অনুণ এই দুপুরের দৃশ্য থেকে আমি তবু
মহিমা কীর্তন করি এই মনোটোনাসের দিন...
উত্তরে মেঘের দেশ
                   শ্রাবণ ঘুমিয়ে গেলে

আমি তবু দেক্ষিণে যাবো না
অপার নীলিমা ধরে নির্লিপ্তির বাড়ি চলে যাবো...

শ্রীমতি মঞ্জুশ্রী

মনে আছে...
কার্তিকের কথাগুলি দূরে ফুটিতেছে... ঝরিতেছে
প্রান্তর বাড়িতে... আহা প্রান্তর বাড়ির ঢিলিমিলি
আর ওই অনৃত নীল পড়শি...

যেনো আমি কোনদিন ওইসব ইন্দ্রনীল বাড়ি
যাই যাই... তবু ক্যামোফেজ গল্পগুলি-

আর কি বলিবো পড়শির কথা
আমি তাকে বিবাহে চেয়েছি...

মনে নেই...
শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে একদিন
বাঙলা কবিতা গিয়েছিলো অন্তেষ্টি-উৎসবে
কবেকার স্মৃতি আহা-

মনে আছে... মনে নেই শ্রীমতি মঞ্জুশ্রী

ঙ. পঁচিশোত্তরীয় বাঙলা কবিতা

এক
তবে যাই বিন্দু বিন্দু পঁচিশোত্তরীয়
পথিমধ্যে পাঠ্য জল... জল-বায়ুবীয়
যেমন আমার কথা- এসে যায় কী বা
যদি বলি যে শ্মশানে রেখেছি প্রতিভা...

কী আশ্চর্য আয়নায় আমি বিসদৃশে
আমাকেই দেখি আর অধিরূঢ় বিষে
মনে হয় ভালো লাগে- আহা ভালোবাসা
আপন চরণে ধুলো... ধুলোতেই আশা...

সকলি আমার গান- অবিমৃশ্র কথা
আমি যে ঘুমিয়ে থাকি প্রকাশিত যথা;
তবে কি রহস্য ঘুমেই? নিদ্রাদেবী জানে
আমি যে জাগ্রত নহি- অন্য অভিমানে...
অর্থাৎ ঘুমিয়ে চলি- ঘুমিয়ে দাঁড়াই
জন্মাবধি বাস করি নিষিদ্ধ পাড়ায়
এসব লঘুতা বটে! ল. সা. গু'তে ভুল
গ. সা. গু'তে অধিকন্তু মহা হুলুস্থূল...

তবু এই বিন্দু বিন্দু ঘাসের শিশিরে
চুরি যাওয়া পুকুরকে পাওয়া যায় ফিরে-
এইসব দেখি আর না দেখি অধিক
অন্তরনগর ট্রেন চলে ঝিক ঝিক...

দুই
যে সব পুরনো গল্প... অদ্য আধুনিকে
যেনো বা তারা মেটামরফসিস শিখে
এতোদিনে দাঁড়িয়েছে... নিউ প্রোফাইল...
বলো তবে প্রত্নসুন্দরী, কোথায় ছিলে
এতাকাল? গুপ্তপাথরে? পুরস্থাপত্যে?
কী রকম মৃতুঘুম... চিতায় না চৈত্যে
শুয়ে শুয়ে খেয়েছো প্রবাহ- আর তাই
একটি অনাদি গল্পে তোমার কথাই...

আর এই কম্পিত মোর দুইটি হাত
একটি সোনার কাঠি অন্যটি রূপোর...
অতএব আমি যেনো তোমার শিয়রে
হাত দুটি রাখিয়াছি বাল্মীকির ঘোরে-
তবু রচিবো না কিছু... অনুক্ত প্রার্থনা
এই- ভস্ম হতে সাধ হয়... আ মরি দ্যোতনা
আর এই মহোৎসব- মাধুর্য সকলি
আমি কিছু চাহিবো না বৃথা অন্তর্জলি...
শুধু এই সান্দ্রসাধ- পঁচিশোত্তরীয়
জীবন আমার... প্রাপণে অঙ্গারপ্রিয়...

অগ্নিমন্ত কন্যা তুমি চক্ষু মেলে চাও
চন্দন এসেছি ছুঁয়ে- ভস্ম করে দাও

তিন
পঁচিশোত্তরীয় পৃথিবীর ইতিহাসে
এই বাক্য কী এমন অর্থ নিয়ে আসে?
আমি তার কিছুই জানি না তবু সাধ
হয় লিখে যাই হয়তোবা বিসংবাদ...

আর এই অ্যাভেনিউ অ্যাশফ্যাল্ট স্ট্রীটে
যেন ধুলো নেই- তবু যাই হেঁটে হেঁটে
তবু পথিক হতে পারবো না, হায় এই মনো-
জাগতিক জ্যামিতির খসড়া নন্দন,
আমি তবে কান্তি আর চেয়েছি ক্রন্দন?

তবু এই আত্মপ্রভ- এই তমোহর
অন্বর্থ সকাশে দেখি ঝাঁপসা-মিরর...
এইভাবে বাস করি কুয়াশাপ্রবণ
আমি আর আমি ভাই অবৈধ দুজন...

দিগন্তের নীল মেয়ে আমাদেরই মা
পাখিয়া বোনের স্মৃতি মনেই পড়ে না-
এই যেনো ইতিহাস- পিতৃত্বরহিত
শেষরাতে তারাগণ দগ্ধ- ফণায়িত...

কোন দিকে যাও পন্থ... কতো দূরে যাও
এইবার আমাকেও পান্থ করে নাও

চার
কবিতা লিখেছি বটে! না লিখেছি আরো
আমার স্মারক থেকে অদৃশ্যত তারও
বেশি আমি বাস করে যাই পৃথিবীতে-
গভীর মৌনতা মাখি মুখর সঙ্গীতে...

এইখানে আছি তবু দূর বহুদূর
যেমতি মৃত্যুর আগেই মরেছি প্রচুর-
আমি এই মর্ম থেকে কুড়াই মহিমা
আঙুলে নির্ণয়ে করি অপার অসীমা...
তবু এই নিসর্গের অঝোর-ভৈরবী
আমি যাই অন্তরীক্ষ- গোপনীয় কবি...

কবিতা লিখেছি বটে! কবিতা কি লিখি
পূর্ণিমায় পুড়ে গেছে শতাব্দীর সিঁকি-
অনূন্য সংবেদে আহা আছি ও শাশ্বতী
আমাকে সুদূরে রেখে সান্দ্র বৃহস্পতি
ভেসে গেলো... ভাসমান... মেঘের বাড়িতে
যদি যাই- তৃষ্ণাতুর... সন্ত-প্রবাহিতে...

আর ওই জোনাকির আলো নিভে গেলে
অরণ্যের অন্ধকারে আমাকেই জ্বেলে
দেবো সমূহ সন্তাপে... আহা অন্তঃচিতা
এই আমার জীবন! আশ্চর্য কবিতা!!