আরো কিছু গান অথবা প্রার্থনা
প্রথমে ব্যাকুল ঠাকুরের গানে অতি ছোটো প্রাণে
আরো কিছু সঙ্গীত অবিভক্ত কথা
আর
পূর্ণদৈর্ঘ্য ব্যাকুলতা বিরহ রচনা
তবু
মাঝে মাঝে ভালোবাসি দীর্ঘ নিরবতা
ক. মাতৃমঙ্গলের জলপ্রপাত...
সেই থেকে শুরু হলো স্নিগ্ধতা দিয়ে মানে সেইসব দিন আর
গূঢ় কিছু গন্ধে গন্ধে আদিগন্ত গ্রামদেশে সেইসব সকরুণ গল্পগুলি
এখনো ঘুমিয়ে গেলে যেনো জেগে থাকে
আয়ুষ্মতী জননীর চোখ- সেই চোখে সপ্তর্ষি-পুরাণ
আর
আমাদের মা কি তবে এখনো জননী?
জননী গো- জিষ্ণুতে আজ আমিও জেগে জেগে
তোমাকে আর আমায় নিয়ে রয়েছি উদ্বেগে!
আমি সেই জননীর হিরুময়ী অহঙ্কার চূর্ণ করে এসেছি
তবু আমাদের মা সংগোপন ভালোবাসেন- আর কী আশ্চর্য
গোপনের সব গ্রাম দূরদ্বীপে জলমগ্ন হলো- আর
জন্মজলে তৃষ্ণাতুর তবু আমি অজ্ঞাত বাউল... আহা
সেই আমার প্রথম প্রণিধান- আমিও কি প্রমূর্ত পুরুষ?
বোনগুলো সব ক্যামন যেনো- বোনের কি করে
জননী আর ভগ্নি দেখি একই শাড়ি পড়ে!
অতএব মাতৃমঙ্গলের ফাঁকে এই বলা যায় (ব্যষ্টিবাসে বলি ভগ্নিগণ
তোমাদের হরিতাদ্র বন ছুঁয়ে একদিন জলপাই গন্ধ এনেছিলাম)
খ. বসতি বলে যে বিস্ময় ছিলো বিবিধ নন্দনে...
চলো যাই জলপাই বনে বা- অথবা অতিদূর গগণে
পায়ে মাখি কচি ধানতে আর ওড়াই ঘুড়ি মানে কৈশোরে উড়ি
তাই প্রমাণিত... অধিক প্রামাণ্য জানি পাখি- তবে
সেইসব পাখিদের সাথে পুনর্বার দেখা হলে কি কথা কহিবো?
আজ এতোদিন পরে তবে মনে করি প্রাগুক্ত পঙতি- আহা
আমার সোনার চান পাখি
তোরে কোথায় রাখি
পাখি রে...
আমি আর একবার পাখি হতে এই প্রাণ উড়িয়ে দিলাম
মধুপুরের মাঠে- গাঁ-গঞ্জের প্রতিবেশে কোনো মধুপুর এখনো কি
মায়াবী মৌন গ্রাম?
রাই সরিষার বনে লুপ্ত হলুদ সবুজ ঘ্রাণ- আর কীনা মাঠের কিনারে নদী-
আমি সেই নদীজলে গাঙশালিকের গল্প কুড়িয়ে রাখি!
গ. পুনর্বার জননী ও ভগ্নির কথা বলি...
একদিন ভোরবেলা হেঁটে হেঁটে জোড়াদহে যাবো- নীলকুটি ধরে... আর
আমি ঠিকই চিনে নেবো আমার জন্মকাতর ধ্বনি- ও জননী
এইজন্ম আত্মনাশ ভালোবাসে বলে একদিন জলপাই গন্ধ থেকে
একদিন শালদুধ এনেছিলো আহা কী যে সুন্দর বিনাশী পাতক-
কুসুমিত কুমারীর ফণা ভেঙে পতনের তীব্র বিষ ঢেলে দেয়...
তবে আজ এই চৈত্রের উৎসবে
অথবা এ বনে বনে পাতাদের প্রস্থান সঙ্গীতে
পুনর্বার মুগ্ধতায় ক্যানো ভেসে যাবে বিভীষিত জলে
ও আমার চর্যার কবিতা-বোন
স্মৃতিথি-আত্মজ
অধিপ্রাণে গেয়ে যাই অন্য এক মনীষার গীতি...
ঘ. আরো কিছু কথা- হয়তো অযথা... তবু তিতিক্ষা-প্রলাপ...
এই যে আমি রেখেছি চাঁদের প্রথায় পুড়ে যাওয়া শব্দাবলী
আর মিশ্র মিশ্র বাক্যচর্চার বিবিধ ল.সা.গু... একদিন
গোকুল নগরে সন্ধ্যা এসেছিলো শ্মশান-সন্ন্যাসে
আর আমাদের পোড়া পোড়া ইতিহাস ওড়ে হাওয়ায়-
আহা ভুল চন্দনের গন্ধে একদিন
নদীজলে অনৈতিহাসিক ঢেউ ভালোবেসে হারিয়ে গিয়েছি...
ঙ. পুনশ্চ থাকাতে সুবিধা এই- আরো কিছু কথা বলা যায়...
পুনশ্চ আমারো প্রিয়- আমি খুব রূপকথা ভালোবাসি
রাজা ছিলো
রাণী ছিলো
পশু আর
প্রাণী ছিলো
আরো ছিল কি?
আহা খবর এনেছি
ঠাকুরের দেশ ছিলো না কখনো শেষ ছিলো না
প্রাণ ছিলো না প্রাণে-
মুর্খ... সসম্মানে
হায়!
এইসব গল্পগুলি আরো কিছু রূপকথা হয়ে যায়...
স্কেচ: ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
বউ অপ্রকাশিত এই পাণ্ডুলিপি একদিন মুদ্রিত হবে আমার পাঁজরে
অলৌকিক সুন্দরের পাদদেশে। আপেল গড়িয়ে পড়ে। সোনার গোলক। পাখিসব যে পালক ঝরিয়ে দেয়- আহা কবে কেউ শুনেছে কি পালক ঝরার শব্দ কী রকম পাখোয়াজ হয়ে যায়। অধিকন্তু জল-কল্লোল। কাব্যমতে বলা যায় যেনো সেই মার্গীয় মূর্ছনা... পুষ্প-কোরকের অনাদি বিস্ময়ে কী কেউ তোলে দিকে দিকে সান্দ্রময় মৌনতায়। তবে দূর পাহাড়ের নির্জনতা কি আমাদের পেছনে লেগেছে?
জানি এইসব শীতকলা- কুয়াশারহস্যের দিনে আমি তবু অপারগতায় তোমাকে যা বলিনি- সেই আমার অনুচ্চারিত... মেটাফিজিক্যাল প্রণতি... অপ্রকাশিত... হৃদি-রাগ পাণ্ডুলিপি... বাঙলা কবিতায় অনন্যের সম্ভাবতায় নন্দনতত্ত্ব... আহা সেই আমার মহান ইথিকস্- সপ্রতিভ সৌন্দর্যের না বলা এপিক- যাহা মরে গ্যাছে আমার ভিতরে- যথারীতি আমিও মরেছি অজস্র... গভীর প্রাতিস্বিকে- অর্থাৎ আমার প্রকৃত গান তুমি কোনদিন শোন নাই... তবু আমাকেই কী ভীষণ গায়ক বলেছিলে... হায় আমাদের পদবীতে ভালোবাসা লেগে গিয়েছিলো...
তবে আজ যা কীনা মৌলিক- আমি আর যে তুমি এই দৃশ্য রূপায়ন করে যাই তবু না বলা পারস্পরিক... সেইসব কথায় পুষ্প-কোরকের অনাদি বিস্ময়... অভাবিত শিল্পকলা...
আর এই প্রকাশিত দিনগুলি... তা তা থৈ সুন্দর দিন যাহা আসে নাই আমাদের পূর্ব জানালায়- তাই সুহৃদের ভাষ্য পাঠ করি আর জেনে যাই- অধিক সুন্দর তবে থাকে আগামীর পানপাত্রে... আর সেই পাত্র থেকে একফোঁটা মদিরাও পড়ে না অতীতে বা অধুনায় পড়ে না কখনো...
মধ্যাহ্ন কীর্তন: তিন
আমি সেই পাতাটিতে প্রণীত এবঙ
পাতাপ্রবাহের পথে শুনি প্রিয় ঘুঘুদের গান...
পাতাটির আরো কথা পাখিরাই জ্ঞাত
বোঁটায় বিয়োগচিহ্নে উড়ে যায় কোথাও... কোথায়
ছায়ায় বসতি রেখে আরো কিছু মেঘ-নীলিমায়...
আমি সেই পাতাটিতে প্রণীত এখন
পাতাপ্রবাহের পথে শুনি প্রিয় ঘুঘুদের গান
দুপুরের দিন ভেঙে ঘুঘুদের গান
আমার পতন থেকে যা কিছু মর্মর
অরন্তুদ- আর এসেনিন উঁকি মারে জানলায়...
সংশয়
স্পাইরাল হয়ে ফিরে আসি
গৃহে গৃহে;
পথে দেখা প্রিয় পাখিদের সঙ্গে
মেঘে ও মৃত্তিকায় আরও কতো স্মৃতি...
যতোদূর যাওয়া যায়
যেনো তারও অধিক গিয়েছি আমি-
তবু ফের বসে আছি
দাদীমার ঘরে-
বয়সিনী দাদীমা তো শুয়েই থাকেন...
সামান্য কিশোরী তুমি! ঘুরে ঘুরে
দাদীমা হয়েছো!!
কি তবে গ্রহণীয় আজ
গৃহে গৃহে?
অসীমায় সীমাবদ্ধ যাহা... ম্যাজিক্যাল
ও ভাই স্পাইরাল
তবে কীনা
আমার দাদীমা কখনো কিশোরী ছিল না...
যেনো আমি কোনদিন কোথাও যাইনি...
বনলতা ইশকুল
যদি আজ সেইসব পালকের কথা বলি
আমিও কি ভেসে যাবো উত্তরের আর্দ্র হাওয়ায় হাওয়ায়...
বলো তবু চক্ষু দিয়ে বলো- হাওয়ায় হাওয়ায়
ভেসে যাওয়া ভালো ছিলো যদি
তবে ক্যানো ডানা ভেঙে ছিলে... আর
এইসব গুহ্য গল্পগুলি ছিঁড়ে দিলে অবেলায়-
আরো গুহ্য কোনদিন
এইসব গল্পের বাইরে কোনো জীবন ছিলো না
অধরা ও বালিহাঁস-
যদি সেই পালকের গল্প বলি এই নিভৃত নন্দনে
যদি সেই ডানার স্মরণে আজ বলে যায়
অরন্তুদ স্মৃতিগুলো
আমিও কি ভেসে যাবো উত্তরের আর্দ্র হাওয়ায়...
পায়ের প্রতিভা তাকে এই পথে নিয়ে গেছে
বনলতা ইশকুলে... দূরে ও সুদূরে
আজও পথে পড়ে থাকে ধুলো
আহা আমাদের মাধ্যমিক দিনলিপি বনলতা ইশকুলে...
এখন শিক আমি... বাঙলা কবিতা পড়াই- আর অগোচরে
প্রতিদিন প্রিয় পথ থেকে একমুঠো ধুলো রাখি তুলে...
চিহ্নিত কারক
সম্প্রদান করি- এই অস্থি, হাড়ের ঝিলিক
নিশিচন্দ্রে আজ জ্বেলেছি আগুন!
এই উষ্ণতা... অঙ্গিরা রাখি
পৃথিবীর শীতের পাঁজরে...
এবঙ প্রহরা করি... অন্যান্য কুহকে
যাবতীয় নিদ্রাকুল নিরাপদে থাক!
আর অবশিষ্ট দিকে- তোমাদের তূষ্ণীম্ভাবে
আমার কঙ্কাল ঘষে
মূর্ছনা পাঠাতে পারি-
তোমরা কি ভায়োলিন ভালোবাসো?
সম্প্রদানে... সামান্য কারক
তাকে আর চিহ্নিত কোরো না...
প্রথমে ব্যাকুল ঠাকুরের গানে অতি ছোটো প্রাণে
আরো কিছু সঙ্গীত অবিভক্ত কথা
আর
পূর্ণদৈর্ঘ্য ব্যাকুলতা বিরহ রচনা
তবু
মাঝে মাঝে ভালোবাসি দীর্ঘ নিরবতা
ক. মাতৃমঙ্গলের জলপ্রপাত...
সেই থেকে শুরু হলো স্নিগ্ধতা দিয়ে মানে সেইসব দিন আর
গূঢ় কিছু গন্ধে গন্ধে আদিগন্ত গ্রামদেশে সেইসব সকরুণ গল্পগুলি
এখনো ঘুমিয়ে গেলে যেনো জেগে থাকে
আয়ুষ্মতী জননীর চোখ- সেই চোখে সপ্তর্ষি-পুরাণ
আর
আমাদের মা কি তবে এখনো জননী?
জননী গো- জিষ্ণুতে আজ আমিও জেগে জেগে
তোমাকে আর আমায় নিয়ে রয়েছি উদ্বেগে!
আমি সেই জননীর হিরুময়ী অহঙ্কার চূর্ণ করে এসেছি
তবু আমাদের মা সংগোপন ভালোবাসেন- আর কী আশ্চর্য
গোপনের সব গ্রাম দূরদ্বীপে জলমগ্ন হলো- আর
জন্মজলে তৃষ্ণাতুর তবু আমি অজ্ঞাত বাউল... আহা
সেই আমার প্রথম প্রণিধান- আমিও কি প্রমূর্ত পুরুষ?
বোনগুলো সব ক্যামন যেনো- বোনের কি করে
জননী আর ভগ্নি দেখি একই শাড়ি পড়ে!
অতএব মাতৃমঙ্গলের ফাঁকে এই বলা যায় (ব্যষ্টিবাসে বলি ভগ্নিগণ
তোমাদের হরিতাদ্র বন ছুঁয়ে একদিন জলপাই গন্ধ এনেছিলাম)
খ. বসতি বলে যে বিস্ময় ছিলো বিবিধ নন্দনে...
চলো যাই জলপাই বনে বা- অথবা অতিদূর গগণে
পায়ে মাখি কচি ধানতে আর ওড়াই ঘুড়ি মানে কৈশোরে উড়ি
তাই প্রমাণিত... অধিক প্রামাণ্য জানি পাখি- তবে
সেইসব পাখিদের সাথে পুনর্বার দেখা হলে কি কথা কহিবো?
আজ এতোদিন পরে তবে মনে করি প্রাগুক্ত পঙতি- আহা
আমার সোনার চান পাখি
তোরে কোথায় রাখি
পাখি রে...
আমি আর একবার পাখি হতে এই প্রাণ উড়িয়ে দিলাম
মধুপুরের মাঠে- গাঁ-গঞ্জের প্রতিবেশে কোনো মধুপুর এখনো কি
মায়াবী মৌন গ্রাম?
রাই সরিষার বনে লুপ্ত হলুদ সবুজ ঘ্রাণ- আর কীনা মাঠের কিনারে নদী-
আমি সেই নদীজলে গাঙশালিকের গল্প কুড়িয়ে রাখি!
গ. পুনর্বার জননী ও ভগ্নির কথা বলি...
একদিন ভোরবেলা হেঁটে হেঁটে জোড়াদহে যাবো- নীলকুটি ধরে... আর
আমি ঠিকই চিনে নেবো আমার জন্মকাতর ধ্বনি- ও জননী
এইজন্ম আত্মনাশ ভালোবাসে বলে একদিন জলপাই গন্ধ থেকে
একদিন শালদুধ এনেছিলো আহা কী যে সুন্দর বিনাশী পাতক-
কুসুমিত কুমারীর ফণা ভেঙে পতনের তীব্র বিষ ঢেলে দেয়...
তবে আজ এই চৈত্রের উৎসবে
অথবা এ বনে বনে পাতাদের প্রস্থান সঙ্গীতে
পুনর্বার মুগ্ধতায় ক্যানো ভেসে যাবে বিভীষিত জলে
ও আমার চর্যার কবিতা-বোন
স্মৃতিথি-আত্মজ
অধিপ্রাণে গেয়ে যাই অন্য এক মনীষার গীতি...
ঘ. আরো কিছু কথা- হয়তো অযথা... তবু তিতিক্ষা-প্রলাপ...
এই যে আমি রেখেছি চাঁদের প্রথায় পুড়ে যাওয়া শব্দাবলী
আর মিশ্র মিশ্র বাক্যচর্চার বিবিধ ল.সা.গু... একদিন
গোকুল নগরে সন্ধ্যা এসেছিলো শ্মশান-সন্ন্যাসে
আর আমাদের পোড়া পোড়া ইতিহাস ওড়ে হাওয়ায়-
আহা ভুল চন্দনের গন্ধে একদিন
নদীজলে অনৈতিহাসিক ঢেউ ভালোবেসে হারিয়ে গিয়েছি...
ঙ. পুনশ্চ থাকাতে সুবিধা এই- আরো কিছু কথা বলা যায়...
পুনশ্চ আমারো প্রিয়- আমি খুব রূপকথা ভালোবাসি
রাজা ছিলো
রাণী ছিলো
পশু আর
প্রাণী ছিলো
আরো ছিল কি?
আহা খবর এনেছি
ঠাকুরের দেশ ছিলো না কখনো শেষ ছিলো না
প্রাণ ছিলো না প্রাণে-
মুর্খ... সসম্মানে
হায়!
এইসব গল্পগুলি আরো কিছু রূপকথা হয়ে যায়...
স্কেচ: ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
বউ অপ্রকাশিত এই পাণ্ডুলিপি একদিন মুদ্রিত হবে আমার পাঁজরে
অলৌকিক সুন্দরের পাদদেশে। আপেল গড়িয়ে পড়ে। সোনার গোলক। পাখিসব যে পালক ঝরিয়ে দেয়- আহা কবে কেউ শুনেছে কি পালক ঝরার শব্দ কী রকম পাখোয়াজ হয়ে যায়। অধিকন্তু জল-কল্লোল। কাব্যমতে বলা যায় যেনো সেই মার্গীয় মূর্ছনা... পুষ্প-কোরকের অনাদি বিস্ময়ে কী কেউ তোলে দিকে দিকে সান্দ্রময় মৌনতায়। তবে দূর পাহাড়ের নির্জনতা কি আমাদের পেছনে লেগেছে?
জানি এইসব শীতকলা- কুয়াশারহস্যের দিনে আমি তবু অপারগতায় তোমাকে যা বলিনি- সেই আমার অনুচ্চারিত... মেটাফিজিক্যাল প্রণতি... অপ্রকাশিত... হৃদি-রাগ পাণ্ডুলিপি... বাঙলা কবিতায় অনন্যের সম্ভাবতায় নন্দনতত্ত্ব... আহা সেই আমার মহান ইথিকস্- সপ্রতিভ সৌন্দর্যের না বলা এপিক- যাহা মরে গ্যাছে আমার ভিতরে- যথারীতি আমিও মরেছি অজস্র... গভীর প্রাতিস্বিকে- অর্থাৎ আমার প্রকৃত গান তুমি কোনদিন শোন নাই... তবু আমাকেই কী ভীষণ গায়ক বলেছিলে... হায় আমাদের পদবীতে ভালোবাসা লেগে গিয়েছিলো...
তবে আজ যা কীনা মৌলিক- আমি আর যে তুমি এই দৃশ্য রূপায়ন করে যাই তবু না বলা পারস্পরিক... সেইসব কথায় পুষ্প-কোরকের অনাদি বিস্ময়... অভাবিত শিল্পকলা...
আর এই প্রকাশিত দিনগুলি... তা তা থৈ সুন্দর দিন যাহা আসে নাই আমাদের পূর্ব জানালায়- তাই সুহৃদের ভাষ্য পাঠ করি আর জেনে যাই- অধিক সুন্দর তবে থাকে আগামীর পানপাত্রে... আর সেই পাত্র থেকে একফোঁটা মদিরাও পড়ে না অতীতে বা অধুনায় পড়ে না কখনো...
মধ্যাহ্ন কীর্তন: তিন
আমি সেই পাতাটিতে প্রণীত এবঙ
পাতাপ্রবাহের পথে শুনি প্রিয় ঘুঘুদের গান...
পাতাটির আরো কথা পাখিরাই জ্ঞাত
বোঁটায় বিয়োগচিহ্নে উড়ে যায় কোথাও... কোথায়
ছায়ায় বসতি রেখে আরো কিছু মেঘ-নীলিমায়...
আমি সেই পাতাটিতে প্রণীত এখন
পাতাপ্রবাহের পথে শুনি প্রিয় ঘুঘুদের গান
দুপুরের দিন ভেঙে ঘুঘুদের গান
আমার পতন থেকে যা কিছু মর্মর
অরন্তুদ- আর এসেনিন উঁকি মারে জানলায়...
সংশয়
স্পাইরাল হয়ে ফিরে আসি
গৃহে গৃহে;
পথে দেখা প্রিয় পাখিদের সঙ্গে
মেঘে ও মৃত্তিকায় আরও কতো স্মৃতি...
যতোদূর যাওয়া যায়
যেনো তারও অধিক গিয়েছি আমি-
তবু ফের বসে আছি
দাদীমার ঘরে-
বয়সিনী দাদীমা তো শুয়েই থাকেন...
সামান্য কিশোরী তুমি! ঘুরে ঘুরে
দাদীমা হয়েছো!!
কি তবে গ্রহণীয় আজ
গৃহে গৃহে?
অসীমায় সীমাবদ্ধ যাহা... ম্যাজিক্যাল
ও ভাই স্পাইরাল
তবে কীনা
আমার দাদীমা কখনো কিশোরী ছিল না...
যেনো আমি কোনদিন কোথাও যাইনি...
বনলতা ইশকুল
যদি আজ সেইসব পালকের কথা বলি
আমিও কি ভেসে যাবো উত্তরের আর্দ্র হাওয়ায় হাওয়ায়...
বলো তবু চক্ষু দিয়ে বলো- হাওয়ায় হাওয়ায়
ভেসে যাওয়া ভালো ছিলো যদি
তবে ক্যানো ডানা ভেঙে ছিলে... আর
এইসব গুহ্য গল্পগুলি ছিঁড়ে দিলে অবেলায়-
আরো গুহ্য কোনদিন
এইসব গল্পের বাইরে কোনো জীবন ছিলো না
অধরা ও বালিহাঁস-
যদি সেই পালকের গল্প বলি এই নিভৃত নন্দনে
যদি সেই ডানার স্মরণে আজ বলে যায়
অরন্তুদ স্মৃতিগুলো
আমিও কি ভেসে যাবো উত্তরের আর্দ্র হাওয়ায়...
পায়ের প্রতিভা তাকে এই পথে নিয়ে গেছে
বনলতা ইশকুলে... দূরে ও সুদূরে
আজও পথে পড়ে থাকে ধুলো
আহা আমাদের মাধ্যমিক দিনলিপি বনলতা ইশকুলে...
এখন শিক আমি... বাঙলা কবিতা পড়াই- আর অগোচরে
প্রতিদিন প্রিয় পথ থেকে একমুঠো ধুলো রাখি তুলে...
চিহ্নিত কারক
সম্প্রদান করি- এই অস্থি, হাড়ের ঝিলিক
নিশিচন্দ্রে আজ জ্বেলেছি আগুন!
এই উষ্ণতা... অঙ্গিরা রাখি
পৃথিবীর শীতের পাঁজরে...
এবঙ প্রহরা করি... অন্যান্য কুহকে
যাবতীয় নিদ্রাকুল নিরাপদে থাক!
আর অবশিষ্ট দিকে- তোমাদের তূষ্ণীম্ভাবে
আমার কঙ্কাল ঘষে
মূর্ছনা পাঠাতে পারি-
তোমরা কি ভায়োলিন ভালোবাসো?
সম্প্রদানে... সামান্য কারক
তাকে আর চিহ্নিত কোরো না...
জলাতঙ্ক
শিশিরে সমুদ্র ছিলো এই ভেবে ভ্রমণবিমুখ
এতোগুলো ভোরবেলা হারিয়ে ফেলেছি-
আসলে কি সত্যি ছিলো এরকম বাণী
বাঁশপাতা ভেঙে সেই শৈশবের মনস্ক বৃদ্ধটি
করতল ছুঁয়ে যে দ্বিধা জড়িয়ে দিয়েছিলে:
জল তোর আজীবন বিসদৃশে যাবে
জলের প্রকৃতি ছিলো ভেজা ভেজা হিমায়িত স্মৃতি
এরকম রীতি জেনে অগোচর অভিজ্ঞান থেকে বলি:
আমিই যে জলেই স্নাতক... জল পাঠ্য করি
আর এই নদীপাড়ে কাশবন প্রভাষণা করে- দৃশ্যান্তরে
শ্মশানের ইতিহাস লিখে রাখি- এই কথা
একদিন সন্ধ্যাকে বলেছি
আমাদের সংসারের মতো এই সন্ধ্যা- বৃষ্টিগত
মহাকাল- আহা অনপায়ী নদী- ফোঁটা ফোঁটা জল
আর এই জলে যুক্তপ্রাণ ভেসে ভেসে যায়...
শিশিরে সমুদ্র ছিলো এই ভেবে ভ্রমণবিমুখ
এতোগুলো ভোরবেলা হারিয়ে ফেলেছি-
আসলে কি সত্যি ছিলো এরকম বাণী
বাঁশপাতা ভেঙে সেই শৈশবের মনস্ক বৃদ্ধটি
করতল ছুঁয়ে যে দ্বিধা জড়িয়ে দিয়েছিলে:
জল তোর আজীবন বিসদৃশে যাবে
জলের প্রকৃতি ছিলো ভেজা ভেজা হিমায়িত স্মৃতি
এরকম রীতি জেনে অগোচর অভিজ্ঞান থেকে বলি:
আমিই যে জলেই স্নাতক... জল পাঠ্য করি
আর এই নদীপাড়ে কাশবন প্রভাষণা করে- দৃশ্যান্তরে
শ্মশানের ইতিহাস লিখে রাখি- এই কথা
একদিন সন্ধ্যাকে বলেছি
আমাদের সংসারের মতো এই সন্ধ্যা- বৃষ্টিগত
মহাকাল- আহা অনপায়ী নদী- ফোঁটা ফোঁটা জল
আর এই জলে যুক্তপ্রাণ ভেসে ভেসে যায়...
জার্নি বাই এ ট্রেন
বলা যায় সমস্ত শীতের জাগর জোছনা আর উদাসীন অহঙ্কার নিয়ে- সাতকানিয়ায় নিমজ্জিত মধ্যবিত্ত নিরবতা ভেঙেই হয়তো প্রথম শিস দিয়ে এলো আমাদের দিকে... আমরা প্রথমে বুঝতেই পারিনি এরকম ঝিকঝিক শব্দ কেনো হয়... বুকের ভেতর নদী নেই তবু কী রকম জল ঘুরে ঘুরে ওঠে আর পাঁজরেই প্রতিষ্ঠিত হয় হাড়ের স্লিপার... আহা অনেক অনেক দূরে ওই বিন্দুপুরে ঘুমিয়েছে পৃথিবীর অনন্ত মহিমা... পুরনো রেললাইন...
আমরা এখন, এইটুকু বুঝি- মেঘের সঙ্গে মানুষের মৌলিক পার্থক্য... এবঙ আমরা কীরকম পরিপ্রেতি ভালোবাসি- অথবা যে আমি দৃশ্যের আড়ালে ওই স্বপ্নপত্রে লিখেছি আমার অধিপ্রাণ প্রাত্যহিকী... আর এই মুহূর্তে ছোট্ট যে পাখিটি উড়ে গ্যালো হরিতাশ্রয়ী বনের গভীরে- কীরকম বৈসাদৃশ্যে আমরা ডানার সাধ ম্রিয়মুখে বসে থাকে হৃদয়েশ্বরী গৃহের উঠোনে...
আরও বলা যায়, মৃত পাতাগুলি উড়ে উড়ে যে কাহিনী মুদ্রিত করে শাদা পৃষ্ঠার হাওয়ায়- তবু এই ধ্বনিচিত্র রূপায়িত হতে হতে হয়তো বা জানা যাবে ওই ঘুড়ির কঙ্কাল কবে কোন বালকের স্মৃতি নিয়ে উড়ে গেছে জন্মদিনের শুভেচ্ছায়- আহা মেঘষ্মতী বালিকার দিকে- দূরদেশে... প্রতিপৃথিবীর গল্প জমেছে গভীর...
এইসব মুহূর্তের প্রতিলিপি সংগ্রহ করি আর এই ধাবমান মগ্নতায় বসে বসে থাকি আর আমাকেই স্বরচনা করি- আহা অনেক অনেক দূরে ওই বিন্দুপুরে ঘুমিয়েছে পৃথিবীর সুষমা সকল- পুরনো রেললাইন... আমি রেলযাত্রী... একা তবে নিজের সঙ্গে ওই প্রান্তরের পার্থক্য কোথায়... কতো কতোদিন কেন ওই পাখিগুলি আমাকে তাদের পালক কুড়োতে বলেছিলো...
বলা যায় সমস্ত শীতের জাগর জোছনা আর উদাসীন অহঙ্কার নিয়ে- সাতকানিয়ায় নিমজ্জিত মধ্যবিত্ত নিরবতা ভেঙেই হয়তো প্রথম শিস দিয়ে এলো আমাদের দিকে... আমরা প্রথমে বুঝতেই পারিনি এরকম ঝিকঝিক শব্দ কেনো হয়... বুকের ভেতর নদী নেই তবু কী রকম জল ঘুরে ঘুরে ওঠে আর পাঁজরেই প্রতিষ্ঠিত হয় হাড়ের স্লিপার... আহা অনেক অনেক দূরে ওই বিন্দুপুরে ঘুমিয়েছে পৃথিবীর অনন্ত মহিমা... পুরনো রেললাইন...
আমরা এখন, এইটুকু বুঝি- মেঘের সঙ্গে মানুষের মৌলিক পার্থক্য... এবঙ আমরা কীরকম পরিপ্রেতি ভালোবাসি- অথবা যে আমি দৃশ্যের আড়ালে ওই স্বপ্নপত্রে লিখেছি আমার অধিপ্রাণ প্রাত্যহিকী... আর এই মুহূর্তে ছোট্ট যে পাখিটি উড়ে গ্যালো হরিতাশ্রয়ী বনের গভীরে- কীরকম বৈসাদৃশ্যে আমরা ডানার সাধ ম্রিয়মুখে বসে থাকে হৃদয়েশ্বরী গৃহের উঠোনে...
আরও বলা যায়, মৃত পাতাগুলি উড়ে উড়ে যে কাহিনী মুদ্রিত করে শাদা পৃষ্ঠার হাওয়ায়- তবু এই ধ্বনিচিত্র রূপায়িত হতে হতে হয়তো বা জানা যাবে ওই ঘুড়ির কঙ্কাল কবে কোন বালকের স্মৃতি নিয়ে উড়ে গেছে জন্মদিনের শুভেচ্ছায়- আহা মেঘষ্মতী বালিকার দিকে- দূরদেশে... প্রতিপৃথিবীর গল্প জমেছে গভীর...
এইসব মুহূর্তের প্রতিলিপি সংগ্রহ করি আর এই ধাবমান মগ্নতায় বসে বসে থাকি আর আমাকেই স্বরচনা করি- আহা অনেক অনেক দূরে ওই বিন্দুপুরে ঘুমিয়েছে পৃথিবীর সুষমা সকল- পুরনো রেললাইন... আমি রেলযাত্রী... একা তবে নিজের সঙ্গে ওই প্রান্তরের পার্থক্য কোথায়... কতো কতোদিন কেন ওই পাখিগুলি আমাকে তাদের পালক কুড়োতে বলেছিলো...
প্রবাদিত মোমের প্রণতি
আর ওই কাঞ্চন-সন্ধ্যার কাছে বলি- বিভীষিত
জলের কাহিনী... আর ওই রূপায়িত ভোরের মন্দির...
সুষমার শূন্য দেশ, সেই দেশে শাদা... সন্তগ্রস্থ
চন্দ্রসভ্যতা গড়ি আর ভেসে যাই পাতকী প্লাবণে...
তবু এইপারে জেগেছিলো আনত ভিক্ষুক... ঋদ্ধ মহিমায়
সপ্তর্ষি প্রজ্ঞান করি আমি প্রবালের ভাই
সমুদ্রবাসনা রাখি চৈত্রের যাত্রায়...
আহা মুগ্ধ বিস্মরণ... আর এই অনৃত ভ্রমণ-
আমি তবে কোনদিন কোথাও যাইনি... বিভীষিত
জলের কাহিনী আর প্রাপ্ত যা প্রজ্ঞান
একে একে তীর্থে যায় যাবতীয় দৃশ্যাবলী
সেইখানে আমি কেউ নই- যারা কিছু ডেকেছিলো কোনদিন
আমার কি নাম ছিলো... হায় বিস্মরণ
দ্ব্যর্থ দিন প্রধূমিত, দ্ব্যর্থ তবু প্রলুব্ধ রজনী...
আর ওই কান্তজী-প্রত্নের কাছে বলি- মর্মরিত
আমার জীবনী... আর ওই প্রবাদিত মোমের প্রণতি...
ইহা যদি পুষ্প... তবু প্লাবণের ঢেউ ভালোবাসে...
আর ওই প্রব্রজ্যা-প্রান্তের কাছে বলি- লুক্কায়িত
সূচনা আমার... তবু সমাপ্তির সুদূরে বসতি...
আর ওই কাঞ্চন-সন্ধ্যার কাছে বলি- বিভীষিত
জলের কাহিনী... আর ওই রূপায়িত ভোরের মন্দির...
সুষমার শূন্য দেশ, সেই দেশে শাদা... সন্তগ্রস্থ
চন্দ্রসভ্যতা গড়ি আর ভেসে যাই পাতকী প্লাবণে...
তবু এইপারে জেগেছিলো আনত ভিক্ষুক... ঋদ্ধ মহিমায়
সপ্তর্ষি প্রজ্ঞান করি আমি প্রবালের ভাই
সমুদ্রবাসনা রাখি চৈত্রের যাত্রায়...
আহা মুগ্ধ বিস্মরণ... আর এই অনৃত ভ্রমণ-
আমি তবে কোনদিন কোথাও যাইনি... বিভীষিত
জলের কাহিনী আর প্রাপ্ত যা প্রজ্ঞান
একে একে তীর্থে যায় যাবতীয় দৃশ্যাবলী
সেইখানে আমি কেউ নই- যারা কিছু ডেকেছিলো কোনদিন
আমার কি নাম ছিলো... হায় বিস্মরণ
দ্ব্যর্থ দিন প্রধূমিত, দ্ব্যর্থ তবু প্রলুব্ধ রজনী...
আর ওই কান্তজী-প্রত্নের কাছে বলি- মর্মরিত
আমার জীবনী... আর ওই প্রবাদিত মোমের প্রণতি...
ইহা যদি পুষ্প... তবু প্লাবণের ঢেউ ভালোবাসে...
আর ওই প্রব্রজ্যা-প্রান্তের কাছে বলি- লুক্কায়িত
সূচনা আমার... তবু সমাপ্তির সুদূরে বসতি...
হৃদি-রাগে ভায়োলিন শুনি
আর তবে সেই ফাইং বার্ডের কথা মনে পড়ে? অমল ধবল পূর্ণিমায় পৃথিবীর লোনলি প্রান্তরে- তুমি সেই ফিনিক্সের গান আর শুনবে না কখনো? অতীন্দ্রিয় অভিলাসে তীব্র সেই ডানা দেখে দিয়েছিলে প্রদগ্ধ দ্যোতনা- ও প্রিয় পাবক... ভূপৃষ্ঠের কোন পাড়ে তবে তার প্রিয় মুখ অবমত? আজ তবে সেই ফাইং বার্ডের কথা মনে পড়ে- অমল ধবল পূর্ণিমায় পৃথিবীর লোনলি প্রান্তরে?
শুধু এই অভিজ্ঞান জ্বলে ওঠে সন্ধ্যার পূরবী-পাড়ায়... অবিমিশ্র অন্ধকার বনে দূর দৃশ্যাবলী... ঝিঙেফুল ফোটে- তুমি তবু তার কিছুই জানো না আজ এই একুশ শতকে- কোন ওই জোনাকিরা জন্মমাত্র জ্বলিতেছে আর ফাইং বার্ডের গান- ডানার কাহিনী লিখিতেছে?
তুমি... তুমি তবু আজ কিছুই শোন না কোথায় হৃদি-রাগে ভায়োলিন ভাসিতেছে...
জন্মোৎসব
ঘুমিয়ে পড়েছো; পাতকের প্রিয় পাখি
ডানা খুলে যায় মর্মর অবসাদে,
প্রাক-পৃথিবীর ইতিহাস ছিঁড়ে ফেলে
আমরা চলেছি চিতার মতোন চাঁদে...
প্রবাহ জানে না- প্রতিপ্রবাহের গান
গার্হস্থ্য দিনে আমরা পেয়েছি অমা-
প্রতিভা নদীর আতুর-শ্মশানে এসে
ডানা ভেঙে ফেলে উড্ডিন রাখি জমা...
সে কোন কাহিনী- পথে পথে ধূসরিত
সেই পথে যাই মগ্ন মর্মলোকে,
ঘরোয়া রাতের গল্পগুলিকে ছুঁয়ে
প্রতিবিবাহের পদ্ম ফোটাবো চোখে...
ছোটো শ্যামা পাখি- পাবকের প্রতিস্বাদে
আমরা চলেছি চিতার মতোন চাঁদে...
খাম
চিঠি লিখি চোখে চোখে আনত অক্ষরে
চিঠি লিখি নিস্তরঙ্গ মনীষা মর্মরে-
চিঠি লিখি... লিখি চিঠি... ভাষা নিরবতা
চিঠি লিখি... লিখি অশ্রু... লিখি ব্যাকুলতা...
চিঠি লিখি... শীতরাত্রি... কুয়াশাকালীন
চিঠি লিখি... লিখি ব্যথা... লিখি শব্দহীন-
চিঠি লিখি... লিখি চিতা... লিখি ভালোবাসা
চিঠি লিখি... সবকথা... নিরবতা-ভাষা...
চিঠি লিখি... ডাকঘরে... তনুশূন্যতায়
চিঠি লিখি... লিখি স্মৃতি... বিস্মৃতিরা খায়
চিঠি লিখি... লিখি চিঠি পাতকী পয়ার
চিঠি লিখি... লিখি চিঠি... জোছনা-জোয়ার...
চিঠি লিখি... লিখি স্বপ্ন... হয়নি যা বলা
চিঠি লিখি... লিখি মৃত্যু... পুণ্য শিল্পকলা...
অভিমান
অস্থি থেকে উঠে এলি তুই
মর্মের সন্তান
আমাকে কি ছেড়ে যাবি না!?
কি এমন পাপে এই পাথরে আগুন!?
কি এমন অন্যায়ে আমিই মহান!?
দুঃখদের সব গ্রাম
আমাকে চিনিয়ে দিলি!
দহনের সব নদী
আমাকে ভাসিয়ে নিলি!!
তবু তুই ধুধুজল
অস্থি থেকে উঠে এলি
মর্মের সন্তান
আমাকে কি ছেড়ে যাবি না!?
No comments:
Post a Comment